হেয়ার ফল | চুল পড়ার কারণ ও প্রতিকারে ১০টি টিপস
- Nutripure Bangladesh
- Posted on
- 0 comments
দিনে ৫০ থেকে ১০০ টি হেয়ার ফল হওয়া কিন্তু স্বাভাবিক। এজন্য চুল আঁচড়ানোর সময় চিরুনিতে চুল দেখেই টেনশনে পড়ে যাবার কোনো কারণ নেই। তবে যদি এক্সেসিভ হেয়ার ফল হতে থাকে, তখন টেনশন হওয়াটাই স্বাভাবিক। হেয়ার ফল ট্রিটমেন্ট করতে গিয়ে প্রথমে জানতে হবে চুল কেন পড়ছে। তারপর হেয়ার ফল হবার কারণ বুঝে সেটার ট্রিটমেন্ট! তাহলে জেনে নিন হেয়ার ফল হবার কারণ ও হেয়ার ফল থেকে বাঁচার কিছু ইফেক্টিভ টিপস-!
হেয়ার ফল হবার কারণ-
চুল পড়ার পেছনে অনেক কারণ রয়েছে। যেমন- ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কেমোথেরাপি নেয়া, জেনেটিক কারণ, ভুল ডায়েট, মানসিক চাপ, অপুষ্টিজনিত কারণ, মাথার তালুতে কম রক্ত চলাচল, হরমোনজনিত কারণ ইত্যাদি। আপনার কী কারণে চুল পড়ছে তা ভেবে দেখুন এবার!
হেয়ার ফল প্রতিকারে টিপসসমূহ
- ওষুধ সম্পর্কে জানুন
অতিমাত্রায় চুল পড়তে থাকলে ভয় না পেয়ে আপনার ডক্টরের সাথে কথা বলুন। হয়তো কোন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় এমনটি হচ্ছে, এছাড়াও আপনি যেই ওষুধটি সেবন করছেন তার নাম দিয়ে গুগল-এ সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন ওষুধটির কী কী পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া।
ক্যালরিযুক্ত খাবার খান
যদি আপনার মেনু-তে ক্যালরিযুক্ত খাবার একেবারেই না থাকে তাহলেও আপনার চুল পড়তে পারে। তাই অতিরিক্ত চুল পড়তে থাকলে ডায়েট মেনুতে একটু বদল আনতে পারেন। ওজন কমাতে গিয়ে চুল কমিয়ে ফেলাটা কোন কাজের কথা না।
স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট করুন
অতিরিক্ত মানসিক চাপেও চুল পড়তে পারে। এক্ষেত্রে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট-এর প্রসেস গুলো ফলো করুন। আপাতদৃষ্টিতে এই টিপসগুলোকে আপনার কাছে তেমন আহামরি কিছু মনে না হলেও নিয়মিত পালন করতে পারলে এগুলো আপনার মানসিক প্রশান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। যেমন – মেডিটেশন করা, নিয়মিত প্রার্থণা, ইয়োগা করা, হাঁটা এসব ব্যাপারগুলো আপনার প্রতিদিনকার রুটিনে রাখতে পারেন।
হাই- প্রোটিনযুক্ত খাবার খান
আপনার প্রতিদিনের মেনু-তে যাতে পর্যাপ্ত ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই এবং আয়রন থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। আপনার মেনু-তে হাই প্রোটিনযুক্ত খাবার রাখুন। মুরগীর মাংস, মাছ খান; প্রতিদিন নয় তবে নিয়মিত।
- তেল ম্যাসেজ করুন
মাথার চুল এবং তালুতে নিয়মিত হেয়ার অয়েল ম্যাসাজ করুন। নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করলেও চলবে, এছাড়া আমলা অয়েল বেশ কার্যকরী। তেল ম্যাসাজ করার আগে তেল একটু গরম করে নিলে খুব ভালো হয়। আপনার তেল দেয়ার সময় না থাকলে উইকলি ২ দিন হেয়ার মাস্ক ইউজ করতে পারেন।
পেয়াজের রস ব্যবহার করুন
মাথায় পেঁয়াজের রস ম্যাসাজ করলেও চুল পড়া কমে। রাতে শোয়ার আগে পেঁয়াজের রস মাথায় ম্যাসাজ করে নিন, সকালে ঘুম থেকে উঠে শ্যাম্পু করে ফেলুন।
মেহেদি দিন
মাথায় বাটা মেহেদি লাগান, সেটা না পেলে নিউট্রিপিওরে পিওর মেহেদি গুঁড়ো পাওয়া যায়, সেটাকে পেস্ট করে লাগাতে পারেন।
মাথায় ও চুলে গ্রিন টি ম্যাসাজ করুন
দুই ব্যাগ গ্রিন টি এক কাপ গরম পানিতে ফেলে দিন। তারপর অপেক্ষা করুন। পানি ঠান্ডা হলে মাথায় এবং চুলে ম্যাসাজ করুন। তারপর এক ঘণ্টা রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না
ভেজা চুল আঁচড়াবেন না। আর ভেজা চুল শুকানোর জন্য টাওয়েল দিয়ে শক্ত করে পেঁচিয়ে রাখবেন না। বরং চুলকে স্বাভাবিক বাতাসে শুকাতে দিন।
স্ট্রেইটনার ও কেমিকেল সামগ্রী কম ইউজ করুন
চুলে কেমিকেল যুক্ত প্রসাধনী কম ব্যবহার করুন। স্ট্রেইটনার ব্যবহার কমিয়ে দিন একেবারেই। চুলের যত্নে ন্যাচারাল হেয়ার কেয়ার প্রডাক্টস ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন।
উপরের এই কয়টি টিপস ছাড়াও আপনাকে অবশ্যই যা করতে হবে, তা হলো প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস পানি খেতে হবে। নিয়মিত হেয়ার ওয়াশ করতে হবে। এক্ষেত্রে অনেকেই আছেন, যারা খুব ঘন ঘন শ্যাম্পু পরিবর্তন করে। অথচ এটা চুলের জন্য খুব ক্ষতিকর! তাই শ্যাম্পু পরিবর্তন করলেও ঘন ঘন পরিবর্তন করা যাবে না।