রিবন্ডিং ও ড্যামেজড চুলের যত্ন DIY Hair Rebonding
- Nutripure Bangladesh
- Posted on
- 0 comments
রিবন্ডিং ও ড্যামেজড চুলের যত্ন DIY Hair Rebonding
ঝলমলে স্ট্রেইট চুল পাওয়া সব মেয়েরই স্বপ্ন। কিন্তু ন্যাচারালি সবার হেয়ার টেক্সচার একই রকম হয় না, চুল ও স্ট্রেইট বা কার্লি হয়। ঢেউ খেলানো মসৃণ সোজা চুল পেতে তাই আমরা অনেকেই Hair Rebonding করে থাকি। রিবন্ডিং করলে চুল যে শুধুই ঝলমলে, সোজা, শাইনি ও স্মুথ হয় তাই ই না বরং ফ্রিজিনেস আসেনা বলে চুল ম্যানেজ করাও সহজ হয়। Hair Rebonding এর ব্যাপারে কমবেশি আমরা সবাই টুকটাক জানি। আজকে এই লেখা সাজিয়েছি এই ক্যামিকেল ট্রিটমেন্টের কিছু সাইড ইফেক্ট ও রিবন্ডেড চুলের যত্নের কিছু টিপস দিয়ে।
Hair Rebonding কি?
আপনার চুল মূলত গঠিত এমাইনো এসিড দিয়ে। এই এমাইনো এসিডের প্রোটিন বন্ড গুলো যেমন, আপনার চুল ও ন্যাচারালি তেমন হয় কার্লি, স্ট্রেইট বা ওয়েভি। Hair Rebonding করার সময় রিল্যাক্সিং কিছু ক্যামিকেল ব্যবহার করে এমাইনো এসিডের বন্ড গুলো ভেঙে ফেলা হয় প্রথমে ও পরে নতুন করে আবার আপনার পছন্দের টেক্সচারে সেগুলোকে রিবিল্ড করা হয়। এটি একটি আর্টিফিশিয়াল ও ক্যামিকেল বেইজড প্রসেস যা রিল্যাক্স্যান্ট ও নিউট্রিলাইজার এর মাধ্যমে করা হয়।
হেয়ার রিবন্ডিং কিভাবে করা হয়
হেয়ার রিবন্ডিং ৩-৮ ঘন্টা ধরে করা একটা সময় সাপেক্ষ প্রসেস, যা মুলত নির্ভর করে হেয়ার লেংথের উপরে। সিস্টেমেটিক ওয়েতে ক্যামিকেল ও হিট এপ্লাই করে আপনার চুলকে গর্জিয়াস টেক্সচার ও স্ত্রেইট শাইনি লুক দেয়া হয়।
- হেয়ার স্টাইলিস্ট আপনার চুলকে প্রথমে মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিয়ে কয়েকটি অংশে ভাগ করে নেন।
- এরপর এতে রিল্যাক্স্যান্ট এপ্লাই করে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দেয়া হয়। ক্রমাগত মনিটরিং করা হয় এই সময়ে।
- এবার ১০-১৫ মিনিট ধরে স্টিম করা হয় ও হেয়ার ওয়াশ করে ডিপ কন্ডিশনিং করা হয়। তারপর শুকিয়ে নেয়া হয়।
- কেরাটিন লোশন এপ্লাই করে ১৮০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে চুলকে ফ্ল্যাট আয়রণ দিয়ে স্ট্রেইট করা হয়।
- এবার নিউট্রিলাইজার এপ্লাই করে ৩০ মিনিট রেখে দেয়া হয়, এতে চুল দীর্ঘমেয়াদী ভাবে স্ট্রেইট অবস্থায় থাকে।
- ফাইনালি, আবার ওয়াশ করে ব্লো ড্রাই করা হয় ও প্রয়োজনে আবার আয়রণ করা হয়।
রিবন্ডিং করা চুলের যত্ন যেভাবে নিবেন
উপরের প্রসেস থেকেই বুঝতে পেরেছেন, হেয়ার রিবন্ডিং হলো হিট ও স্ট্রং কিছু ক্যামিকেলের মাধ্যমে করা হয়। রিবন্ডিং এর পরে চুল খুবই দুর্বল হয়ে পড়ে, হেয়ার ড্যামেজ হবার সম্ভাবনা তৈরী হয়। এই সময় দরকার চুলের বিশেষ যত্ন নেয়া। আপনি যদি রিসেন্টলি Hair Rebonding করিয়ে থাকেন বা করানোর প্ল্যান থাকে, তাহলে নিচের বিষয় গুলো অবশ্যই খেয়াল রাখবেন –
- রিবন্ডিং করার ৭২ ঘন্টার মধ্যে হেয়ার ওয়াশ করা যাবে না। এতে টেক্সচার নষ্ট হয়ে যাবে।
- চুল বাঁধা যাবে না বা শেইপ নষ্ট হয় এমন কিছু করা যাবে না, এতে করে চুলে ভাজ পড়ার দাগ হয়ে যাবে।
- অন্তত তিনদিন খোলা চুল নিয়ে সোজা হয়ে ঘুমাতে হবে।
- তিনদিন পরে চুল ওয়াশ করার সময় খুব ভালভাবে কন্ডিশনিং করতে হবে।
- কোনোভাবেই হিট স্টাইলিং যেমন স্ট্রেইটনার, কার্লার, ব্রো ড্রায়ার ইউজ করা যাবে না।
- হেয়ার ড্যামেজ কিছুটা অনিবার্য ভাবেই হবে সেক্ষেত্রে স্প্লিট এন্ডস ট্রিম করে নিতে হবে বা চুলের আগা কেটে নিতে হবে।
- চুলে প্রয়োজনীয় ময়েশ্চার ধরে রাখতে ও এক্সট্রা ড্যামেজ না হবার জন্য ঠান্ডা পানি দিয়ে শাওয়ার নিতে হবে।
- স্ক্যাল্প পরিস্কার রাখতে হবে, নিয়মিত ওয়েলিং ও ম্যাসাজ করতে হবে। মাইল্ড শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে।
- পলিউশন, বৃষ্টি ও আলট্রাভায়োলেট রশ্মি থেকে বাঁচতে স্কার্ফ, ছাতা কিংবা হ্যাট ইউজ করতে হবে।
- প্রোটিন ও আয়রণ সমৃদ্ধ ব্যালেন্সড ডায়েট নিশ্চিত করতে হবে।
হেয়ার রিবন্ডিং এর সাইড ইফেক্ট
- রিবন্ডিং এর সব থেকে বড় সাইড ইফেক্ট হলো হেয়ার ড্যামেজ যা একেবারে অনিবার্য।
- অনভিজ্ঞ স্টাইলিস্ট বা পার্লারে করালে রিবন্ডিং যেমন স্থায়ী হয় না, ড্যামেজ আরো বেশি হয়।
- ক্যামিক্যালের প্রভাবে চুলের গোড়া নরম হয়ে চুল উঠে আসতে শুরু করে।
- রিবন্ডিং করা চুলের যথাযথ যত্ন না নিলে হেয়ার ফল, ড্রাই হেয়ার ও ফ্রিজিনেস সহ আরো বিভিন্ন ধরণের জটিলতা দেখা দেয়। যেগুলোর ট্রিটমেন্ট খরচ ও সময় সাপেক্ষ।
Shop at Nutripure Bangladesh
রিবন্ডেড চুলে কি কি প্রডাক্ট ইউজ করবেন?
- শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার
মাইল্ড ও সালফেট ফ্রি শ্যাম্পু ব্যাবহার করতে হবে। বিশেষত বাজারে এমন কিছু শ্যাম্পু পাওয়া যায় যাতে উল্লেখ করা থাকে “For camically treated Hair” এই শাম্পু গুলো ইউজ করা যেতে পারে। এছাড়া ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে। প্রডাক্ট সিলেকশনের সময় মাথায় রাখতে হবে যাতে করে রিবন্ডিং প্রসেসের সময় হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি ও ময়েশ্চার আবার চুলে ফিরে আসে।
- Nutripure Organic Onion Oil
Nutripure Organic Onion Oil এ আছে হেয়ার ড্যামেজ রিকভার করার জন্য প্রয়োজনীয় এক্সট্রা সালফার ও এন্টি-অক্সিডেন্ট যা কোলাজেন প্রডাকশন বুস্ট করে ও চুলে প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগায়। কয়েক সপ্তাহের নিয়মিত ব্যবহারেই এই অর্গানিক ওয়েল রিবন্ডিং এর কারণে সৃষ্ট হেয়ার ড্যামেজ রিকভার করতে পারে। একই সাথে এটা চুলের গোড়া শক্ত করে ও চুল ভাঙা সহ স্প্লিট এন্ডস হওয়া থেকে রক্ষা করে।
- Nutripure Anti Hair Fall Mask
রিবন্ডিং পরবর্তী চুলে সঠিক যত্ন না নেয়ার কারণে চুল পড়া খুব কমন একটি সমস্যা। এ থেকে মুক্তি দিতে পারে Nutripure Pure and Natural Anti Hair Fall Mask. এতে রয়েছে আমলা, হেনা-মেহেদী, ভৃঙ্গরাজ, রিঠা ও মেথী এর মতন কার্যকরী উপাদান যা চুলের গোড়া মজবুত করে করে এবং চুলে এন্টি অক্সিডেন্ট, ভিটামিন সি ই, প্রোটিন ও নিকোটিনিক এসিড যোগান দিয়ে চুল পড়া বন্ধ করে, হেয়ার ড্যামেজ রিকভার করে এবং স্ক্যাল্পের সতেজতা বজায় রেখে রিবন্ডিং চুল ভেঙে যাওয়া ও পাতলা হয়ে যাওয়া রোধ করে।
- মোটা দাঁতের চিরুনী ও নিয়মিত ওয়েলিং
রিবন্ডেড চুল যেহেতু দুর্বল হয়ে যায় ও ভেঙে যাবার প্রবনতা দেখা যায়, এই সময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যাবহার করা ভালো। মনে রাখতে হবে যে ভেজা অবস্থায় চুল চিরুনি করা যাবে না। এছাড়া চুলের হারিয়ে যাওয়া পুষ্টি ফিরে পেতে নিয়মিত ক্যামিকেল ফ্রি কোকোনাট ওয়েল, আমলা ওয়েল, জবা ওয়েল ও এলোভেরা ওয়েল ব্যাবহার করা যেতে পারে। রিবন্ডেড চুলের যত্নে Nutripure এ আছে আপনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরণের ওয়েলের সমারোহ।
চুল রিবন্ডিং করার ডিসিশন একটু চিন্তা ভাবনা করে বুঝে শুনে নেয়াই ভালো। সবার চুল ও স্ক্যাল্প এক রকম নয়। ক্যামিকেল ট্রিটমেন্ট সবাইকে একই ভাবে স্যুট করবে সেটাও নিশ্চিত ভাবে বলা যায় না। রিবন্ডিং একটি পারমানেন্ট প্সসেস হলেও চুল বাড়ার সাথে সাথে নতুন অংশ গুলো পুরোনো টেক্সচারেই বাড়তে থাকে। এজন্য রিবন্ডিং প্রসেসটি কমবেশি ১২ সপ্তাহ পর পর রিপিট করতে হয়, যেটা নির্ভর করে ব্যাক্তিভেদে চুলের গ্রোথের উপর।