সহজে Acne বা Pimple Treatment এর ঘরোয়া উপায়

how-to-treat-acne-or-pimple-at-home

কোনও গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে আপনার সেজেগুজে যাওয়ার কথা! আর আপনি সকালে উঠে দেখলেন ডান গালে একটা মসুর ডালের বড়ার মতো পিম্পল! বা ব্রণ! যার না হয়েছে তিনি কখনোই বুঝবেন না। আর তারপরেই শুরু হয়ে যায় লম্ফঝম্প! Pimple Treatment এর জন্য এই ক্রিম, সেই লোশন। এতে যে একেবারেই কাজ হয় না তা নয়! তবে দুদিন পরে আবার অন্য গালে পিম্পলের আগমন ঘটে! চলুন দেখে নেই পিম্পল যুক্ত ত্বকে  Skin Care এর উপায়।

কেন ব্রণ হয়

যখন ত্বকে অতিরিক্ত সিবাম নিঃসৃত হয়, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে ওঠে। এই সিবাম ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ করে দিতে পারে, যা সংক্রমিত হয়ে গেলে ব্রণ দেখা দেয়। এ সময় যদি সঠিকভাবে যত্ন না নেয়া হয়, তবে ব্রণগুলো দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে এবং ত্বকে কালো ও স্থায়ী দাগ তৈরি হতে পারে। 

অধিকাংশ মানুষের যেকোন বয়সেই ব্রণ হলেও, বয়সন্ধিকালে প্রায় সকলেরই ব্রণের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন কারণেই ব্রণ বা একনে কিংবা পিম্পলের সৃষ্টি হতে পারে। ত্বকের লোমকূপের নিচে রয়েছে তেল নিঃসরণ গ্রন্থি। এই তেল নিঃসরণ গ্রন্থির আশেপাশেই রয়েছে হাজার হাজার মৃতকোষ। মৃতকোষের সাথে ত্বকের দূষিত তেল মিলে ব্রণের সৃষ্টি করে। আবার বাইরের ধূলাবালি ত্বক থেকে বের হওয়া তেলের উপর প্রলেপের সৃষ্টি করে। তখন সেই তেল আর বের হতে পারে না ফলে ব্রণের সৃষ্টি হয়। ত্বকের দূষিত তেল বের হতে না পারলে বিভিন্ন জায়গায়ই ব্রণের সৃষ্টি হতে পারে, যেমনঃ মুখমণ্ডল, পিঠ, কাঁধ ও বুক। সব জায়গার ব্রণ ঢাকা গেলেও মুখের ব্রণ খুব সহজেই লোকচোখে পরে যায়। তাই অনেকেই বিভিন্ন ক্রিম ব্যবহার করে এর থেকে মুক্তি পেতে চায়। আবার অনেকে পার্লারে কিংবা চিকিৎসকের কাছে গিয়েও ব্রণ থেকে প্রতিকার পেতে চায়।

ব্রণ ও ব্রণের দাগ থেকে মুক্তি পেতে কিছু টিপস

১) প্রতিদিন ৯-১০ গ্লাস পানি পান করুন।

২) প্রতিদিন রাতের খাবারের পর যেকোনও ধরনের মৌসুমি ফল খান। এটি আপনার ত্বককে সতেজ রাখবে। যতটা সম্ভব তেলযুক্ত বা ফাষ্ট ফুড জাতীয় খাবার পরিহার করুন।

৩) সব সময় বাইরে থেকে আসামাত্র মুখ ফেইস ওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এছাড়া হালকা গরম পানির স্টীম নিতে পারেন। এতেকরে ত্বকে জমে থাকা ধূলোবালি পরিষ্কার হয়ে যাবে।

৪) আমাদের মধ্যে অনেকেরই নখ দিয়ে ব্রণ খোটার বাজে অভ্যাস রয়েছে।আমাদের বুঝতে হবে এটা কোন সমাধান না। উল্টো এতে ব্রণের অবস্থা আরও খারাপ হবে। এর ফলে ব্রণ লাল হয়ে যাবে। এমনকি তা ফেটে গিয়ে মুখে দাগের সৃষ্টি করবে। ব্রণ না যাওয়া পর্যন্ত মেক-আপ ব্যবহার না করাই উচিত। দিনে অন্তত দুই বার তেল-মুক্ত ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে।

ব্রণের প্রতিকার

এর খুব সহজ প্রতিকার হলো স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করা। নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, নির্দিষ্ট সময় ঘুমানো, পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন থাকাই ব্রণের মূল প্রতিকারব্যবস্থা। আর খুব বেশি সমস্যা হলে নিজে কিছু না করে চিকিৎসকের, বিশেষ করে ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

  • বাড়ির বাইরে গেলে যখনই সুযোগ পাওয়া যাবে, তখনই পানি দিয়ে ত্বকের উপরিভাগ ধুয়ে নিতে হবে। এতে ত্বক যেমন পরিষ্কার ও তরতাজা থাকবে, তেমনি কমবে জীবাণুর সংক্রমণ এবং ব্রণ হওয়ার প্রবণতা। যাদের ত্বক তৈলাক্ত, তাদের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে মেনে চলতে হবে। কারণ, তৈলাক্ত ত্বকে ময়লা জমে খুব দ্রুত।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে সারা দিনে, যাতে শরীরে পানির অভাব তৈরি না হয়। প্রতিদিন কমপক্ষে আট গ্লাস পানি খেতে হবে। সকাল শুরুই করতে হবে পানি পানের মধ্য দিয়ে।
  • চিকিৎসকেরা পরামর্শ দেন প্রতিদিন ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমানোর। কারও কারও এর বেশি সময়ও ঘুমের প্রয়োজন হতে পারে। ঘুমের এ সময় নির্ধারিত হবে বয়স ও শারীরিক কর্মকাণ্ডের ওপর ভিত্তি করে। তবে সাধারণত ৬ ঘণ্টার কম এবং ৮ ঘণ্টার বেশি না ঘুমানোই ভালো। নিয়ম করে নির্দিষ্ট সময় ঘুমাতে যেতে হবে এবং একই সময় ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস করতে হবে। এতে প্রয়োজনীয় হরমোন নিঃসরণ ও তৈরি হয়ে শরীরের কাজগুলো ঠিকমতো ঘটতে থাকবে এবং ব্রণ হবে না।
  • ফার্স্ট ফুড, ডিপফ্রাই করা খাবার, কোমল পানীয় বাদ দিয়ে স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে হবে নিয়মিত। ফলমূল ও আঁশজাতীয় খাবার রাখতে হবে খাদ্যতালিকায়।

ব্রণ সমস্যার ঘরোয়া সমাধান

বিভিন্ন ফল ও ভেষজ উপাদানের প্রাকৃতিক প্যাক ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে সহায়তা করে। আসুন জেনে নেই ব্রণ দূর করার ঘরোয়া উপায়-

  • অ্যালোভেরা-হলুদ প্যাক:

অ্যালোভেরা এনজাইম, পলিসেকারিডস এবং পুষ্টি উপাদানে ভরপুর। যা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল হিসেবে কাজ করে। অ্যালোভেরা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের বিষাক্ত উপাদান দূর করে এবং ত্বকে পুষ্টি জোগায়, কোমলতা আনে এবং আর্দ্রতা বজায় রাখে। হলুদে প্রদাহ প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে যা ত্বকে ভালো রাখে। এক টেবিল চামচ হলুদ, মধু, দুধ এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপজল মেশাতে পারেন। এই মিশ্রণটি এবার অ্যালোভেরা জেলের সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

  •  টক জাতীয় ফলের প্যাক:

লেবু, কমলার মতো টক জাতীয় ফলে অ্যাস্ট্রিনজেন উপাদান রয়েছে। যা ত্বকের ব্যাকটেরিয়া কমায় এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। এই ফলের রস মুখে ঘষে ঘরে লাগানোর পর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর উষ্ণ পানিতে ধুয়ে ফেলুন।

  • দুধ:

চর্বির উপাদানের কারণে এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য উপকারী। তৈলাক্ত ত্বকে দুধের ব্যবহার না করাই ভালো। এতে ত্বক আরও তৈলাক্ত হয়।

  • মধু:

এটি ত্বকে প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। সব ধরনের ত্বকের জন্যই এটি উপযোগী।

  •  শসা:

শসার নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের কাজে লাগা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।

  • টুথপেস্ট:

ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বের হয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন।

  • গ্রিন টি:

গ্রিন টি গোটা বা ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি গ্রিন টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্যাগট থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।

  •  অ্যাসপিরিন:

খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।

  •  রসুন:

রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন।

  • লেবুর রস:

তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।

Acne বা Pimple Treatment এর জন্য  Nutripure Organic Acne Care Routine :

ব্রণের ১০০% ন্যাচারাল ও ইফেক্টিভ ট্রিটমেন্ট। ব্রণ ও পোরস থেকে পাবেন চিরতরে মুক্তি। ট্রাই করুন NutriPure Organic Acne Care Routine. খুব সহজেই পাবেন ব্রণ ও পোরস থেকে চিরতরে মুক্তি। ১ মাস নিয়মিত ইউজ করলেই আপনি দৃশ্যমান ফলাফল পেতে শুরু করবেন।

Acne Treatment Mask Benefits:

Acne Treatment Facial pack -ব্রণ দূর করে, ব্রণের জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে। এতে আছে মাচা গ্রিন টি, মরিংগা, নীম ও টি ট্রি অয়েল যা ফাংগাল একনি দূর করতে ও বিশেষ উপযোগী।

Tea Tree Oil – স্কিনের ডিপ লেয়ারে প্রবেশ করে ভেতর থেকে ব্রণের ব্যাকটেরিয়া কিল করে। স্কিনে এ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ইফেক্ট দেয় যার ফলে নতুন করে ব্রণ হতে পারে না এবং পোর মিনিমাইজ করে স্কিন কে করে স্মুথ।

Rose Facial Mist– স্কিনের পোরসের ভেতর প্রবেশ করে পোর ক্লিন করবে , স্কিন এক্সফোলিয়েট করবে এন্ড স্কিনের ইম্পিউরিটিস গুলো দূর করে স্কিন কে বিশুদ্ধ করবে।

এই সিম্পল ৩ টি প্রোডাক্ট আপনার বিউটি রুটিনে ইনক্লুড করে সহজেই পেয়ে যান- একনি ফ্রি, ফ্ললেস, ইয়ংগার, গ্লোয়িং ত্বক।

ব্যাবহার বিধি

3 Step Acne Combo

স্টেপ ১:  ফেসওয়াশ দিয়ে ফেস ক্লিন করে প্যাকটি এ্যাপ্লাই করতে হবে ১৫-২০ মিনিট পরে ফেইস পানি দিয়ে ভালো মতো ক্লিন করতে হবে।

স্টেপ ২:  হালকা ভেজা অবস্থায় টোনার স্প্রে / পাম্প করতে হবে এবং তা ফেইসে সেট হতে দিতে হবে।

স্টেপ ৩:  রাতে ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে ৫-৬ ড্রপ টি ট্রলি ওয়েল ফুল ফেইসে হালকা করে মেসেজ করে এ্যাপ্লাই করতে হবে। এছাড়াও মশ্চারাইজার এর সাথে মিক্স করে এপ্লাই করা যাবে।

এই সিম্পল ৩ টি স্টেপ  আপনার বিউটি রুটিনে ইনক্লুড করে সহজেই পেয়ে যান- একনি ফ্রি, ফ্ললেস, ইয়ংগার, গ্লোয়িং ত্বক।

ব্রণের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক হিসেবে প্রতিদিনের স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চলতে হবে। চেষ্টা করবেন বেশি রাসায়নিকযুক্ত কোন বিউটি প্রোডাক্ট ব্যবহার না করতে। ব্রণ হলেই সেটা হাত দিয়ে টিপে বা খুঁটে দেখার অভ্যাসটা ত্যাগ করুন। দাগ শুধু চাঁদেই ভাল লাগে, আপনার মুখে নয়!

অনেক সময় কিছু সাধারণ পদ্ধতি মেনে চললে পিম্পল বা ব্রণ কমে যায়। বেশি করে পানি পান করলে, সুষমভাবে ডায়েট মানলে এবং অবশ্যই জাঙ্ক খাবার এড়িয়ে চললে ব্রণ এমনিতেই কমে যায়। তবে সেটা রাতারাতি করে হবে না। একটু সময় লাগবে। কিন্তু আপনার যদি এত ধৈর্য না থাকে, তা হলে এই চটজলদি পদ্ধতিগুলো চেষ্টা করে দেখুন। এক রাতেই আপনার ব্রণ ছু’ মন্তর ছু’ হয়ে যাবে।

Share:

Nutripure Bangladesh

Leave a Reply