সহজে ড্যান্ড্রাফ দূর করার ৩ টি ঘরোয়া উপায়
- Nutripure Bangladesh
- Posted on
- 0 comments
স্ক্যাল্প ময়লা ও তৈলাক্ত থাকার কারণে মূলত ড্যান্ড্রাফের সংক্রমণ হয়। একবার খুশকি হয়ে গেলে অস্বস্তিকর চুলকানি আর Hair Fall এর সমস্যায় আমরা খুবই চিন্তিত হয়ে পড়ি। কিন্তু যত বেশি চুলকানো হয়, সমস্যা আরো বাড়তে থাকে। বাজারে থাকা ক্যামিকেল শ্যাম্পুগুলো দ্রুত ও চিরতরে খুশকি দূর করার লোভ দেখিয়ে থাকে। কিন্তু এই ক্যামিকেল খুশকি দূর করতে গিয়ে চুলের ও স্ক্যাল্পের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি করে। এজন্য অন্তত খুশকি দূর করতে ক্যামিকেল হেয়ার প্রডাক্ট ব্যাবহার করা উচিত না বরং আমাদের অর্গানিক সমাধানের দিকে যাওয়া উচিত।
চলুন আজকে জেনে নেই নাছোড়বান্দা খুশকি দূর করার কয়েকটি ন্যাচারাল ঘরোয়া উপায়-
- কোকোনাট ওয়েল, মেথি, টকদই ও লেবুর রসের হেয়ার মাস্ক :
আপনার যা যা প্রয়োজন-
- ৩/৪ টেবিল চামচ কোকোনাট ওয়েল
- ১ টেবিল চামচ ফ্রেশ লেবুর রস
- ৩/৪ ফোঁটা রোজমেরি ওয়েল
- ১ টেবিল চামচ মেথি
- ১ টেবিল চামচ টকদই
যেভাবে ব্যাবহার করবেন-
- সবগুলো উপাদান একসাথে একটা ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিতে হবে।
- এরপর মাথার চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে স্ক্যাল্পের প্রতিটা অংশে ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে।
- ৩০-৪০ মিনিট মাস্কটি মাথায় রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে অন্তত একবার মাস্কটি ব্যাবহার করতে হবে।
যেভাবে কাজ করে-
কোকোনাট ওয়েল এমনিতেই চুলের জন্য খুবই উপকারি। এতে থাকা মিনারেলস ও এন্টি-অক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পকে ভেতর থেকে পুষ্টি যোগায় ও আর্দ্রতা ধরে রেখে খুশকি হতে দেয় না। এছাড়া মেথি, লেবুর রস ও টকক দই এর এন্টি- ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি ইনফ্লেমেটরি এজেন্ট স্ক্যাল্পকে খুশকি ও ফাংগাল ইনফেকশনের হাত থেকে রক্ষা করে।
- এপল সাইডার ভিনেগার, এলোভেরা ও জিঞ্জার মাস্ক :
আপনার যা যা প্রয়োজন-
- ২/৩ টেবিল চামচ এপল সাইডার ভিনেগার
- ২/৩ ফোঁটা টি ট্রি ওয়েল
- ২ টেবিল চামচ মধু
- ১/২ কাপ এলোভেরা জেল
- ৫/৬ টি পুঁদিনা পাতা
- ১ টেবিল চামচ শুকনো আদার পাউডার
- পরিমান মত পানি
যেভাবে ব্যাবহার করবেন-
- সবগুলো উপাদান একসাথে একটা ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিতে হবে।
- এরপর মাথার চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে স্ক্যাল্পের প্রতিটা অংশে ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে।
- ১৫-২০ মিনিট মাস্কটি মাথায় রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুইবার মাস্কটি ব্যাবহার করতে হবে।
যেভাবে কাজ করে-
এপল সাইডার ভিনেগার স্ক্যাল্পের pH ব্যালেন্স নিয়ন্ত্রণ করে ও স্ক্যাল্পে ইস্ট জন্মাতে বাঁধা দেয়। এতে করে স্ক্যাল্পে খুশকি ও ফাংগাল ইনফেকশন হয় না। এছাড়া এলোভেরা, জিঞ্জার, টী ট্রী ওয়েল ও মধু ন্যাচারাল ক্লিনজার হিসেবে কাজ করে ও এগুলোতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস ও এন্টি- অক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পকে সতেজ রাখে একই সাথে খুশকির কারণে হেয়ার ফল বন্ধ করে।
- নিম, কাঁচা দুধ, মধু ও মেথীর হেয়ার মাস্ক :
আপনার যা যা প্রয়োজন-
- ১০/১৫ টি নিমের ফ্রেশ পাতা
- ১ চা চামচ মধু
- ২ টেবিল চামচ কোকোনাট ওয়েল
- ১ টেবিল চামচ মেথী
- ১/২ কাপ কাঁচা দুধ
- পরিমান মত পানি
যেভাবে ব্যাবহার করবেন-
- সবগুলো উপাদান একসাথে একটা ব্লেন্ডারে নিয়ে ভালোভাবে ব্লেন্ড করে পেস্ট করে নিতে হবে।
- এরপর মাথার চুল কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়ে স্ক্যাল্পের প্রতিটা অংশে ভালোভাবে এপ্লাই করতে হবে।
- ৫-১০ মিনিট ধরে আলতো করে ম্যাসেজ করতে হবে।
- ৩০ মিনিট মাস্কটি মাথায় রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
- ভালো ফলাফল পেতে সপ্তাহে দুইবার মাস্কটি ব্যাবহার করতে হবে। ১মাসের মধ্যে খুশকি দূর হয়ে নর্মাল স্ক্যাল্প ফিরে পাবেন।
যেভাবে কাজ করে-
নিম একটী ঔষধী গাছ হিসেবে তার এন্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও এন্টি-ফাংগাল গুণাগুণের জন্য খুবই পরিচিত ও বহুল ব্যাবহৃত। এর সাথে মেথী, কাঁচা দুধ ও মধু যুক্ত হয়ে স্ক্যাল্পকে খুশকি ও ফাংফাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে। এই মাস্কে আছে প্রচুর পরিমানে এন্টী-অক্সিডেন্ট ও চুলের জন্য উপকারী মিনারেল যা খুব দ্রুত ও পারমানেন্টলি খুশকি দূর করতে খুবই কার্যকরী।
তাহলে আপনাদের জানা হয়ে গেল খুব সহজেই ঘরে বসে খুশকি দূর করার ৩ টি অসাধারণ উপায়। তাই আর নয় ক্যামিকেল প্রডাক্ট্রের ব্যাবহার। ন্যাচারালি দূর করে ফেলুন খুশকি ও স্ক্যাল্প ইনফেকশন আর পেয়ে যান ঝলমলে, মসৃণ ও সিল্কি চুল।